চিয়া সিড কি?চিয়া সিড কি প্রতিদিন খাওয়া যায়

আজকে আমি আপনাদের বলবো চিয়া সিড কি এর উপকারিতা,চিয়া সিড খেলে কি হয়,চিয়া সিড প্রতিদিন খেলে কি হয়,চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমানো যায় ইত্যাদি সম্পর্কে আজকে আমি আপনার সাথে এই তথ্যগুলা শেয়ার করবো।তাই চিয়া সিড সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পুরো পোষ্টি ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

চিয়া সিড হচ্ছে অধিক পুষ্টি সম্মত খাবার এখানে আছে দুধের চেয়ে অধিক পুষ্টি প্রায় ৫ গুণের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর ক্যালসিয়াম খাবার।স্যামন মাছের চেয়েও ৮ গুণ পুষ্টি সম্মত খাবার।পালংশাকের চেয়েও ৩গুণ বেশি আয়রন যুক্ত পুষ্টিকর খাবার।

চিয়া সিড কি?এর উৎপাদন কোথায়

চিয়া সিড মুলত একটি বিদেশি বীজ।যা আমেরিকা বা মেক্সিকো অঞ্চলে এর দেখা পাওয়া যায়।চিয়া সিড বীজ হচ্ছে এক কথায় পুদিনার ছোট ভাই।চিয়া সিড আকারো অনেক ছোট হয়ে থাকে বলা যেতে পারে অনেকে টা তিলের মতো আকারে।চিয়া সিড পানিতে আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে তা ১২ গুণ পযন্ত বড় হওয়ার ক্ষমতা রাখে।

চিয়া সিড মুলত তিন ধরনের পাওয়া যায়ঃ

  1. সাদা
  2. কালো
  3. বাদামি

চিয়া সিড সম্পর্কে তথ্য

চিয়া সিড হচ্ছে একটি প্রাচীনতম খাবার।প্রাচীনকালে এর জনপ্রিয়তা ছিলো প্রচুর।এটা ক্ষুদা মিটানোর অনেক উপযোগি বীজ।এটা হজম শক্তি বেশি তাই এটা হজম করতে অনেক সমায় লাগে।যার কারণে এটা খেলে ক্ষুদা মিটানো সম্ভব।চিয়া সিড এ আছে অধিক পুষ্টীগুণ যার কারনে এটা খেলে শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা যায়।চিয়া সিডে অনেক রোগ প্রতিরোধ করে।

প্রাচীনকালে কিছু আদিবাসিরা যেমন মায়ান অ্যাজটেক ইত্যাদি মানুষেরা এটা রূপচর্যা কাজে এই চিয়া সিড বীজ ব্যাবহার করতো।আবার কিছু আদিবাসি ছিল এটা তারা ওষুধি বীজ হিসাবে ব্যাবহার করতো।প্রাচীনকালে মানুষ এটাকে শরবতের মতো করে ব্যাবহার করতো।যাতে শরীরে পানি শুন্য না হতো।যে কারনে চিয়া সিড প্রাচীনকালে মানুষের ওষুধি বীজ হিসাবে চিয়া সিড পরিচিত ছিলো।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিড একটি ফল জাতীয় খাবার,যার কারনে এটা রান্না ছাড়াই খেতে হয়।চিয়া সিড উত্তম হচ্ছে ভিজিয়ে খাওয়া।সকালে ঘুম থেকে উঠে একগ্লাস পানিতে নিয়ে এক চা চামচ চিয়া সিড দিয়ে হালকা নেড়ে চেড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে।ভিজিয়ে রাখার পর দেখা যাবে চিয়া সিড গুলা আগের চেয়ে বড় আর সাদা বর্ণের হয়ে গেছে।

চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে,সকাল বেলা খালি পেতে খাওয়া।কারণ চিয়া সিড হজম হতে অনেক সমায় লাগে।যার কারণে সকালে বেলায় খালি পেটে চিয়া সিড খেলে আর অন্য কিছু খাওয়ার প্রয়োজন পরে নাহ।অথবা আপনি রাতে ঘুমানোর যাওয়ার আগে চিয়া সিড খেতে পারেন।এতে দেখা যাবে আপনি ঘুমের মধ্যে থাকা অবস্থায় চিয়া সিড হজম হয়ে গেছে।

চিয়া সিড চাইলে আপনি জুস পূডিং ইত্যাদি পানি জাতীয় খাবার এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।চিয়া সিড সালাত বা কিছু সবজির রান্না করার সমায় উপরে ছিটিয়ে দিয়ে খাওয়া যায়।তবে আমার মতে সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানো আগে গ্লাসে পানির সাথে ভিজিয়ে খাওয়া সব চেয়ে সাস্থকর হবে।

চিয়া সিডে উপকারিতা

চিয়া সিডে আছে অনেক পুষ্টিগুন।পুষ্টিবিদ্যারা জানান চিয়া সিড হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।চিয়া সিড দিনে দুইবার নিয়মিত খেলে শারীরিক শক্তি যোগান দেয় ও কর্মক্ষেত্রে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।চিয়া সিডে এ আছে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।চিয়া সিডে অ্যান্টি-অক্সিজেন থাকায় রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক।

চিয়া সিড ডায়াবেটিস এর জন্য অনেক উপাকারি একটা খাবার।যা রক্তের সাথে মিশে ডায়াবেটিস সাভাবিক রাখে,এবং উচ্চ রক্তচার এর হাত থেকে বাঁচায়।চিয়া সিড খেলে শরীরের যে বর্য পদার্থ থাকে সে বের করে নিয়ে আশে।নিয়মিত চিয়া সিড খেলে হাড় ও হাঁটুর বা জয়েন্টের ব্যাথার জন্য অনেক উপকার

চিয়া সিডে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকার এটা হাড়ের রোগির জন্য অনেক উপকারি খাবার।আবার যাদের রাতে ঘুম আশে নাহ,রাত জেগে থাকে।ডাক্তার বলে এইসব ব্যক্তির জন্য নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়া উচিত।চিয়া সিড খেলে রাতে নিয়মিত ঘুম হয়।চিয়া সিডে অধিক ক্যালসিয়াম থাকার এটা ক্যান্সার ও ঝুঁকি কমায়।এটা নিয়মিত খেলে ক্যান্সার না সম্ভনা বেশি।

চিয়া সিডে কি কি পুষ্টি বিদ্যামান

চিয়া সিড সুপার ফুড নামে এর নামকরণ দেওয়া হয়েছে।সিয়া সিদ সকল কিছুর চেয়ে এর পুষ্টি বেশি।

চিয়া সিডের যে সব পুষ্টি বিদ্যমান তা হলোঃ

  • ফ্যাটি-অ্যাসিড
  • ক্যাফিক-অ্যাসিড
  • ক্লোরোজনিক-অ্যাসিড
  • অ্যান্টি-অক্সিজেন
  • ক্যালসিয়াম
  • পটাসিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • কেম্পফেরল
  • আয়রন
এতোগুলা পষ্টি থাকার কারনে চিয়া সিডকে সুফার ফূদ নামে আক্ষ্যাইয়িত করেছেন বিশেষজ্ঞগণ।চিয়া সিড সাধারণত সাত দিনেই খাওয়া যায়।এর কোনো সাইটেফাইড নাই।চিয়া সিড সাধারনত ১৫ বছর থেকেই খাওয়া শুরু করতে পারেন।এটা সাধারণত বৃদ্ধ লোক দের জন্য খুব উপকারি খাদ্য।

চিয়া সিড খেলে কি ওজন কমে

চিয়া সিড ওজন কমাতে অনেক উপাদান রয়েছে।চিয়া সিড অনেক অনেক পুষ্টিকর খাবার তাই এটা হজম হতে অনেক সমায় লাগে।এই টা পেতে গিয়ে অনেক ক্ষন থাকার কারনে ক্ষুদা লাগে নাহ।তাই অনেকক্ষন হজম হওয়ার কারণে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।চিয় সিডে রয়েছে অধিক পরিমাণের ক্যালসিয়াম যা শরীররে গিয়ে খারাপ পদার্থ বের করে নিয়ে আসে।

সর্বশেষ কথা

চিয়া সিড অনেক প্রাচীনতম খাবার।চিয়া সিড অনেক পূষ্টি থাকায় এর নাম করণ সুপার ফুড বলা হয়।চিয়া প্রতিদিন নিয়মিত দুইবার দুই চা চামচ খেলে শারীরিক শক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া যায়।
আমি আপনাদের সামনে চিয়া সিডের সকল বিষয়বস্তু তুলে ধরেছি তাই আমার এই পোষ্টি পরে আপনার কেমন লাগলো অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন।আর যদি আমার এই পোষ্টি আপনার উপকারে আশে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url