প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে!বিস্তারিত জানুন
পেয়ারা ইংরেজি হলো(Guava)।পেয়েরা খায় নাহ এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে এমন কথা বলা মুশকিল।কারণ পেয়ারা হচ্ছে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ এ ভরা এই ফল,যা বলা যায় সবার খাবার এর তালিকায় পছন্দের একটি ফল।তাই আমি আজকে আপনাদের পেয়ারা এর উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে সব তথ্য দিবো।তাই পেয়ারা সম্পর্কে সকল তথ্য পেতে পোস্টটি আসুন পোস্টটি পড়ি!!!
পেরায়া হচ্ছে একটি বারো মাসি ফল।এই ফল অন্য যে কোনো ফলের চেয়ে অধিক জনপ্রিয় একটি ফল।পেয়ারা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি।এই ফলের দাম কম কিন্তু পুষ্টি তে ভরপুর।তাই আজকে প্রতিদিন পেয়ারা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় আজকে আমি আপনাদের বিস্তারিত বলবো।
প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
পেয়রা নিয়ে যারা রিসার্চ করেছেন তারা বলেন ওজন কমানোর জন্য পেয়ারা অনেক উপযোগী ফল।দৈনিন্দন এই ফল ১টি করে খেলে আপনার শরীর এর ওজন কমতে সাহায্য করবে।কারণ একটি পরিপূন্য পেয়ারাতে প্রায় ৬৮-৭০ ক্যালোরি থাকে।পেয়ারা হজম করতে অনেক সহজ।পেয়ারা হজম শক্তির জন্য অনেক উপকারি একটি ফল।
দৈনিন্দন পেয়ারা খেলে শরীরের ত্বক ও চোখের জন্য অনেক উপকারি ফল।কারণ পেয়ারাতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় এটা ত্বক উজ্জ্বল ও চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে,যাদের মধুমেহ নামক রোগটি আছে তারা বিকেলে নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খান তাহলে এই রোগটি থেকে মুক্তি পাবেন।
পেয়ারাতে রোগ প্রতিরোধ করার অবদান রাখে।নিয়মিত পেয়ারা খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি থাকার ইঙ্কফেকশন জাতীয় ক্ষত স্থান ভালো হয়ে যায়।যাদের উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন এর খাবার তালিকার ভিতরে পেয়ারা অবশ্যই রাখবেন কারণ পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম-পটাসিয়াম রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ এর হাত থাকে রক্ষা করে।
অনেকের মুখের ভিতরে দূগন্ধ থাকে অনেক সমায় বিরক্ত হই।আপনি যদি দৈনিন্দন খাবার তালিকাতে পেয়ারা রাখেন তাহলে আপনার এই মুখের দূগন্ধ দূর হয়ে যাবে।পেয়ারা তে ভিটামিন-সি থাকায় ত্বক সুন্দর অ উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য থাকে।পেয়ারা তে ভিটামিন-সি থাকায় নিয়মিত পেয়ারা খেলে শরীররে একটা এনার্জি ও পানি শূন্য এর হাত থেকে বাচানো যায়।
পেয়ারার পূষ্টিসমূহ
পেয়ারা বিশেষজ্ঞরা বলেন পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে যা কমলার চেয়ে প্রায় ৪ গুণ পুষ্টি বেশি।ভিটামিন-সি থাকায় যা প্রায় ৫টা আপেন ও ৪ টি কমলার সমান বা তার চেয়েও বেশি পুষ্টি।পেয়ারা তে রয়েছে প্রটিন,খনিজ,ফাইবার,ভিটামিন-এ পটাশিয়াম ইত্যাদি ও পযাপ্ত পরিমান পানি বিদ্যমান।মুখের দাঁত ও মাড়ি ফুলে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পেয়ারার অবদান রয়েছে।
পেয়ারা তে যেসব পুষ্টি বিদ্যমানঃ
- ভিটামিন-সি(২০০ মি.গ্রা)
- পটাশিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- এন্টিঅক্সিজেন ও পলিফেলন
- পানি(৮৬গ্রাম)আশ(৫.৪)
- ক্যালোরি(৫১)
- পোট্রিন(০.৮২)
- ফসফরাস(২৫মি.গ্রা)
- সোডিয়াম(৩ মি.গ্রা)
- ভিটামিন-এ(৭৯২ আই ইউ)
- ম্যাঙ্গানিজ
- সেলিনিয়াম
- ভিটামিন বি-১
- ওমেগো-৩
- ওমাগো-৬
- ফ্যাটি এসিড
পেয়ারার পাতার উপকারিতা
পেয়ারা তে যেমন পুষ্টি ভিটামিন রয়েছে তেমনি করে পেয়ারার পাতা তেও অধিক পুষ্টি রয়েছে।পেয়ারার পাতা কে এক ধরনের ওষুধি গাছ বলা হয়।পেয়ারার পাতা রস করে খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।পেয়ারার পাতা যদি গরম পানিতে সিদ্ধ করে মাথা ধুয়ে ফেলেন তাহলে মাথায় ফলিকন নামক একটি পুষ্টি পায় যা মাথায় নতুন গজাতে সাহায্য করে।
ত্বক ও ভিটামিন এর জন্য পেয়ারার পাতা অনেক উপকারি।পেয়ারা তে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বক ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখে।নিয়মিত পেয়ারার পাতা মিহি করে এর রস করে খেলে পেট অনেক ভালো রাখে এবং গ্যাস্টিক থেকে বাচায়।অনেক সমায় সমায় মুখে মেস্তা ব্রণ ইত্যাদির জন্য পেয়ারার পাতা ভর্তা করে দিলে তা ভালো হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ বেল খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়!বিস্তারিত জানুন
ডায়াবেটিস এর জন্য পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
ডায়াবেটিস এর জন্য পেয়ারা অনেক ভূমিকা রাখে।ডায়াবেটিস দের জন্য বলা যায় সব চেয়ে প্রিয় ফল হচ্ছে পেয়ারা।নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল এ রাখা যায়।যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের খাবার তালিকায় অবশ্যই পেয়ারা রাখাটা জরুরি।পেয়ারা একটি পানি জাতীয় ফল পেয়ারার রসে থাকে মেলিটাস যা ডায়াবেটিস দের জন্য অনেক প্রয়োজন।
চিনি ডায়াটিস এর জন্য একটি নিষেধ্য খাবার।তাই পেয়ারার আঁশ আছে তা চিনি শোষণ করতে সাহায্য করে।নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমে যায়।পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যার কারণে পেয়ারা মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস দের জন্য উপকারি ফল।আবার দেখা যায় এর গ্লাইসেমিক সূচক ও কম।ডায়াবেটিস ঠিক রাখতে পেয়ারা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।
পেয়ারা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল,কিন্তু তারপরেও নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াটিস কন্ট্রোল এ থাকে।পেয়ারা তে আছে প্রচুর পরিমাণ এর ফাইবার যা ডায়াবেটিস এর জন্য উপকারি একটি ফল।আর প্রতিদিন পেয়ারা খেলে উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যার কারণে পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস ঠিক থাকে।শুধু পেয়ারা এই নয় পেয়রার পাতা ডায়াবেটিস এর জন্য অনেক উপকারি।
পেয়ারা একটি অধিক পুষ্টিকর ফল।পেয়ারা তে থাকা ভিটামিন ফাইবার খনিজ যা শরীরের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।পেয়ারা হজম করতে অনেক সহজ যার কারণে এটা সব বয়সি মানুষদের জন্য এই ফলটি।পেয়ারা রক্তে শর্করা মাত্রা কম করে যার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস ঠিক রাখতে সাহায্য করে।তাই ডায়াবেটিস রোগ থাকলে প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
দাঁত ও মাড়ির জন্য পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি ও ফাইবার রয়েছে যা প্রতিদিন খেলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।তাই আপনার যদি দাঁত বা মাড়ি ফুলে যায় তাহলে পেয়ারা খেলে তা সাথে সাথে ভালো হয়ে যায়।পেয়ারা তে থাকা ভিটামিন যা ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।পেয়ারার খোসা যা সব চেয়ে দাঁত ও মাড়ির জন্য বেশী উপকার।
পেয়ারা খেলে দৃষ্টি বাড়ায়
পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন-এ রয়েছে,আর ডাক্তার বলে চোখের জন্য ভিটামিন-এ অনেক উপকারিতা।নিয়মিত পেয়ারা খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় ও চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।ডাক্তার বলে কাঁচা পেয়ারা তে প্রচুর ভিটামিন-এ থাকে যা কর্নিয়া সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।যার কারণে চোখের যেকোনো সমস্যা থেকে বাঁচায় আর দৃষ্টি শক্তি বাঁড়ায়।
আমাদের দেশে রাতকানা রোগ একটা কমন রোগ প্রায় সবাই এই রোগের সাথে জড়িত আছি।অনেকেই আছি যারা রাত জেগে ফোন টিপি তাদের এই সমস্যা টা বেশি হয়ে থাকে।পেয়ারা তে ভিটামিন-এ থাকায় এই সব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।তাই প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খেলে রাতকানা রোগ থেকে সহযেই মুক্তি পাওয়া যায়।
পেয়ারা খেলে হজম শক্তি বাড়ায়
পেয়ারা তে আছে অ্যাস্ট্রিজেন্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রেবাল যা পাকস্থলী সুস্থ রাখতে বজায় রাখে।প্রতিদিন পেয়ারা খেলে হজম শক্তি বাড়ায়।পেয়ারা পানি জাতীয় একটি ফল।যা পেটে গেলে অতিদ্রুত হজম করতে সাহায্য করে।অনেকের পেট খারাপ বা ডায়রিয়া ইত্যাদি হয়ে থাকলে পেয়ারা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
নিয়মিত পেয়ারা খেলে পেটে থাকা ব্যাকটেরিয়া বা খারাপ জিবাণু অতি সহজেই ধ্বংস করে দেই।যার কারণে পেয়ারা খেলে হজম শক্তি বাঁড়ায়।
পিরিয়ড ব্যাথার জন্য
মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যাথা উঠলে অনেক সমায় ওষূধ খেয়ে থাকে,অনেক সমায় আবার দেখা যায় ওষুধ খেলেও পিরিয়ড এর ব্যাথা ভালো হয়না।আর পিরিয়ড এর ব্যাথা উঠলে ওষুধ না খেয়ে আপনি একটা পেয়ারা খেয়ে দেখতে পারেন।পিরিয়ড এর ব্যাথার জন্য পেয়ারা অনেক উপকারি কারণ পেয়ারা তে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে।
শুধু পেয়ারা তেই নয় পেয়ারার পাতা তাও পিরিয়ড এর ব্যাথার জন্য অনেক উপকারি।পেয়ারার পাতা চিবিয়ে বা এর রস করে খেলে পিরিয়ড ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।তাই পিরিয়ড এর ব্যাথার জন্য ওষুধ এর বিকল্পে পেয়ারা বা পেয়ারার পাতা রস করে খেলে অতিদ্রুত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
থাইরয়েড গন্থির জন্য উপকারিতা
যাদের থাইরয়েড এর রোগ আছে তারা প্রতিদিন খাবার এর তালিকায় পেয়ারা রাখতে পারেন।কারণ পেয়ারা তে থাকা ভিটামিন থাইরয়েড ভালো রাখতে ভূমিকা পালন করে।পেয়ারা তে আছে কপার সমৃদ্ধ ট্রেস উপাদান যা থাইরয়েড গন্থি ভালো রাখতে সাহায্য করে।পেয়ারা নিয়মিত খেলে তা থাইরয়েড গন্থির সকল প্রকার সমস্যা দূর করে যার কারণে প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খেলে থাইরয়েড এর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিড কি?চিয়া সিড কি প্রতিদিন খাওয়া যায়
ক্যান্সার ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে পেয়ারার ভূমিকা
প্রতিদিন নিয়ম করে একটি করে পেয়ারা খেলে ক্যান্সার এর মত জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আশে পাশে দেখা গেলে ক্যান্সার এর রোগ টা অনেকেই হচ্ছে,তাই এই জটিল রোগ থেকে বাঁচতে চাইলে প্রতিদিনের খাবার এর তালিকায় পেয়ারা রাখা উচিত।
পেয়ারা তে রয়েছে লাইকোপিন,ভিটামিন-সি,কোয়াসেটিন ইত্যাদি উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি করে ক্যান্সার এর হাত থেকে বাচায়।পেয়ারা দুই ধরনের ক্যান্সার এর হাত থেকে বাঁচায় যেমন প্রোসটেট ও স্তন ক্যান্সার।তাই নিয়মিত পেয়ারা খাই ক্যান্সার এর মত জটিল অসুখ কে বলি বাই বাই!
সবশেষ কথা
আমি পেয়ারার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ও প্রতিদিন পেয়ারা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।তাই পোষ্টি পড়ে কোন কোন অংশটি ভালো লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ যদি পোষ্টি ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে আমার পোষ্ট সম্পর্কে জানাবেন ধন্যবাদ!!
পেয়ারা ইংরেজি হলো(Guava)।পেয়েরা খায় নাহ এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে এমন কথা বলা মুশকিল।কারণ পেয়ারা হচ্ছে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ এ ভরা এই ফল,যা বলা যায় সবার খাবার এর তালিকায় পছন্দের একটি ফল।তাই আমি আজকে আপনাদের পেয়ারা এর উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে সব তথ্য দিবো।তাই পেয়ারা সম্পর্কে সকল তথ্য পেতে পোস্টটি আসুন পোস্টটি পড়ি!!!
পেরায়া হচ্ছে একটি বারো মাসি ফল।এই ফল অন্য যে কোনো ফলের চেয়ে অধিক জনপ্রিয় একটি ফল।পেয়ারা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি।এই ফলের দাম কম কিন্তু পুষ্টি তে ভরপুর।তাই আজকে প্রতিদিন পেয়ারা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় আজকে আমি আপনাদের বিস্তারিত বলবো।
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতাঃ
পেয়রা নিয়ে যারা রিসার্চ করেছেন তারা বলেন ওজন কমানোর জন্য পেয়ারা অনেক উপযোগী ফল।দৈনিন্দন এই ফল ১টি করে খেলে আপনার শরীর এর ওজন কমতে সাহায্য করবে।কারণ একটি পরিপূন্য পেয়ারাতে প্রায় ৬৮-৭০ ক্যালোরি থাকে।পেয়ারা হজম করতে অনেক সহজ।পেয়ারা হজম শক্তির জন্য অনেক উপকারি একটি ফল।
দৈনিন্দন পেয়ারা খেলে শরীরের ত্বক ও চোখের জন্য অনেক উপকারি ফল।কারণ পেয়ারাতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় এটা ত্বক উজ্জ্বল ও চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে,যাদের মধুমেহ নামক রোগটি আছে তারা বিকেলে নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খান তাহলে এই রোগটি থেকে মুক্তি পাবেন।
পেয়ারাতে রোগ প্রতিরোধ করার অবদান রাখে।নিয়মিত পেয়ারা খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি থাকার ইঙ্কফেকশন জাতীয় ক্ষত স্থান ভালো হয়ে যায়।যাদের উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন এর খাবার তালিকার ভিতরে পেয়ারা অবশ্যই রাখবেন কারণ পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম-পটাসিয়াম রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ এর হাত থাকে রক্ষা করে।
অনেকের মুখের ভিতরে দূগন্ধ থাকে অনেক সমায় বিরক্ত হই।আপনি যদি দৈনিন্দন খাবার তালিকাতে পেয়ারা রাখেন তাহলে আপনার এই মুখের দূগন্ধ দূর হয়ে যাবে।পেয়ারা তে ভিটামিন-সি থাকায় ত্বক সুন্দর অ উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য থাকে।পেয়ারা তে ভিটামিন-সি থাকায় নিয়মিত পেয়ারা খেলে শরীররে একটা এনার্জি ও পানি শূন্য এর হাত থেকে বাচানো যায়।
পেয়ারার পূষ্টিসমূহঃ
পেয়ারা বিশেষজ্ঞরা বলেন পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে যা কমলার চেয়ে প্রায় ৪ গুণ পুষ্টি বেশি।ভিটামিন-সি থাকায় যা প্রায় ৫টা আপেন ও ৪ টি কমলার সমান বা তার চেয়েও বেশি পুষ্টি।পেয়ারা তে রয়েছে প্রটিন,খনিজ,ফাইবার,ভিটামিন-এ পটাশিয়াম ইত্যাদি ও পযাপ্ত পরিমান পানি বিদ্যমান।মুখের দাঁত ও মাড়ি ফুলে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পেয়ারার অবদান রয়েছে।
পেয়ারা তে যেসব পুষ্টি বিদ্যমানঃ
- ভিটামিন-সি(২০০ মি.গ্রা)
- পটাশিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- এন্টিঅক্সিজেন ও পলিফেলন
- পানি(৮৬গ্রাম)আশ(৫.৪)
- ক্যালোরি(৫১)
- পোট্রিন(০.৮২)
- ফসফরাস(২৫মি.গ্রা)
- সোডিয়াম(৩ মি.গ্রা)
- ভিটামিন-এ(৭৯২ আই ইউ)
- ম্যাঙ্গানিজ
- সেলিনিয়াম
- ভিটামিন বি-১
- ওমেগো-৩
- ওমাগো-৬
- ফ্যাটি এসিড
পেয়ারার পাতার উপকারিতাঃ
পেয়ারা তে যেমন পুষ্টি ভিটামিন রয়েছে তেমনি করে পেয়ারার পাতা তেও অধিক পুষ্টি রয়েছে।পেয়ারার পাতা কে এক ধরনের ওষুধি গাছ বলা হয়।পেয়ারার পাতা রস করে খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।পেয়ারার পাতা যদি গরম পানিতে সিদ্ধ করে মাথা ধুয়ে ফেলেন তাহলে মাথায় ফলিকন নামক একটি পুষ্টি পায় যা মাথায় নতুন গজাতে সাহায্য করে।
ত্বক ও ভিটামিন এর জন্য পেয়ারার পাতা অনেক উপকারি।পেয়ারা তে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বক ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখে।নিয়মিত পেয়ারার পাতা মিহি করে এর রস করে খেলে পেট অনেক ভালো রাখে এবং গ্যাস্টিক থেকে বাচায়।অনেক সমায় সমায় মুখে মেস্তা ব্রণ ইত্যাদির জন্য পেয়ারার পাতা ভর্তা করে দিলে তা ভালো হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ বেল খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়!বিস্তারিত জানুন
ডায়াবেটিস এর জন্য পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতাঃ
ডায়াবেটিস এর জন্য পেয়ারা অনেক ভূমিকা রাখে।ডায়াবেটিস দের জন্য বলা যায় সব চেয়ে প্রিয় ফল হচ্ছে পেয়ারা।নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল এ রাখা যায়।যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের খাবার তালিকায় অবশ্যই পেয়ারা রাখাটা জরুরি।পেয়ারা একটি পানি জাতীয় ফল পেয়ারার রসে থাকে মেলিটাস যা ডায়াবেটিস দের জন্য অনেক প্রয়োজন।
চিনি ডায়াটিস এর জন্য একটি নিষেধ্য খাবার।তাই পেয়ারার আঁশ আছে তা চিনি শোষণ করতে সাহায্য করে।নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমে যায়।পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যার কারণে পেয়ারা মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস দের জন্য উপকারি ফল।আবার দেখা যায় এর গ্লাইসেমিক সূচক ও কম।ডায়াবেটিস ঠিক রাখতে পেয়ারা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।
পেয়ারা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল,কিন্তু তারপরেও নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াটিস কন্ট্রোল এ থাকে।পেয়ারা তে আছে প্রচুর পরিমাণ এর ফাইবার যা ডায়াবেটিস এর জন্য উপকারি একটি ফল।আর প্রতিদিন পেয়ারা খেলে উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যার কারণে পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস ঠিক থাকে।শুধু পেয়ারা এই নয় পেয়রার পাতা ডায়াবেটিস এর জন্য অনেক উপকারি।
পেয়ারা একটি অধিক পুষ্টিকর ফল।পেয়ারা তে থাকা ভিটামিন ফাইবার খনিজ যা শরীরের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।পেয়ারা হজম করতে অনেক সহজ যার কারণে এটা সব বয়সি মানুষদের জন্য এই ফলটি।পেয়ারা রক্তে শর্করা মাত্রা কম করে যার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস ঠিক রাখতে সাহায্য করে।তাই ডায়াবেটিস রোগ থাকলে প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
দাঁত ও মাড়ির জন্য পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতাঃ
পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি ও ফাইবার রয়েছে যা প্রতিদিন খেলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।তাই আপনার যদি দাঁত বা মাড়ি ফুলে যায় তাহলে পেয়ারা খেলে তা সাথে সাথে ভালো হয়ে যায়।পেয়ারা তে থাকা ভিটামিন যা ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।পেয়ারার খোসা যা সব চেয়ে দাঁত ও মাড়ির জন্য বেশী উপকার।
পেয়ারা খেলে দৃষ্টি বাড়ায়ঃ
পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন-এ রয়েছে,আর ডাক্তার বলে চোখের জন্য ভিটামিন-এ অনেক উপকারিতা।নিয়মিত পেয়ারা খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় ও চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।ডাক্তার বলে কাঁচা পেয়ারা তে প্রচুর ভিটামিন-এ থাকে যা কর্নিয়া সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।যার কারণে চোখের যেকোনো সমস্যা থেকে বাঁচায় আর দৃষ্টি শক্তি বাঁড়ায়।
আমাদের দেশে রাতকানা রোগ একটা কমন রোগ প্রায় সবাই এই রোগের সাথে জড়িত আছি।অনেকেই আছি যারা রাত জেগে ফোন টিপি তাদের এই সমস্যা টা বেশি হয়ে থাকে।পেয়ারা তে ভিটামিন-এ থাকায় এই সব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।তাই প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খেলে রাতকানা রোগ থেকে সহযেই মুক্তি পাওয়া যায়।
পেয়ারা খেলে হজম শক্তি বাড়ায়ঃ
পেয়ারা তে আছে অ্যাস্ট্রিজেন্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রেবাল যা পাকস্থলী সুস্থ রাখতে বজায় রাখে।প্রতিদিন পেয়ারা খেলে হজম শক্তি বাড়ায়।পেয়ারা পানি জাতীয় একটি ফল।যা পেটে গেলে অতিদ্রুত হজম করতে সাহায্য করে।অনেকের পেট খারাপ বা ডায়রিয়া ইত্যাদি হয়ে থাকলে পেয়ারা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
নিয়মিত পেয়ারা খেলে পেটে থাকা ব্যাকটেরিয়া বা খারাপ জিবাণু অতি সহজেই ধ্বংস করে দেই।যার কারণে পেয়ারা খেলে হজম শক্তি বাঁড়ায়।
পিরিয়ড ব্যাথার জন্যঃ
মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যাথা উঠলে অনেক সমায় ওষূধ খেয়ে থাকে,অনেক সমায় আবার দেখা যায় ওষুধ খেলেও পিরিয়ড এর ব্যাথা ভালো হয়না।আর পিরিয়ড এর ব্যাথা উঠলে ওষুধ না খেয়ে আপনি একটা পেয়ারা খেয়ে দেখতে পারেন।পিরিয়ড এর ব্যাথার জন্য পেয়ারা অনেক উপকারি কারণ পেয়ারা তে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে।
শুধু পেয়ারা তেই নয় পেয়ারার পাতা তাও পিরিয়ড এর ব্যাথার জন্য অনেক উপকারি।পেয়ারার পাতা চিবিয়ে বা এর রস করে খেলে পিরিয়ড ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।তাই পিরিয়ড এর ব্যাথার জন্য ওষুধ এর বিকল্পে পেয়ারা বা পেয়ারার পাতা রস করে খেলে অতিদ্রুত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
থাইরয়েড গন্থির জন্য উপকারিতাঃ
যাদের থাইরয়েড এর রোগ আছে তারা প্রতিদিন খাবার এর তালিকায় পেয়ারা রাখতে পারেন।কারণ পেয়ারা তে থাকা ভিটামিন থাইরয়েড ভালো রাখতে ভূমিকা পালন করে।পেয়ারা তে আছে কপার সমৃদ্ধ ট্রেস উপাদান যা থাইরয়েড গন্থি ভালো রাখতে সাহায্য করে।পেয়ারা নিয়মিত খেলে তা থাইরয়েড গন্থির সকল প্রকার সমস্যা দূর করে যার কারণে প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খেলে থাইরয়েড এর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিড কি?চিয়া সিড কি প্রতিদিন খাওয়া যায়
ক্যান্সার ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে পেয়ারার ভূমিকাঃ
পেয়ারা তে রয়েছে লাইকোপিন,ভিটামিন-সি,কোয়াসেটিন ইত্যাদি উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি করে ক্যান্সার এর হাত থেকে বাচায়।পেয়ারা দুই ধরনের ক্যান্সার এর হাত থেকে বাঁচায় যেমন প্রোসটেট ও স্তন ক্যান্সার।তাই নিয়মিত পেয়ারা খাই ক্যান্সার এর মত জটিল অসুখ কে বলি বাই বাই!
সবশেষ কথাঃ
আমি পেয়ারার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ও প্রতিদিন পেয়ারা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।তাই পোষ্টি পড়ে কোন কোন অংশটি ভালো লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ যদি পোষ্টি ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে আমার পোষ্ট সম্পর্কে জানাবেন ধন্যবাদ!!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url